ঢাকা , শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫ , ২৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

​অবহেলায় মা ও শিশুর মৃত্যু: ৫০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে রুল

স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় : ১৩-০৩-২০২৫ ০৪:০৯:১৮ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ১৩-০৩-২০২৫ ০৪:০৯:১৮ অপরাহ্ন
​অবহেলায় মা ও শিশুর মৃত্যু: ৫০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে রুল
নোয়াখালীর সাউথবাংলা হাসপাতালে চিকিৎসকদের অবহেলা ও অপচিকিৎসার কারণে মা ও নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় কেন ৫০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। চার সপ্তাহের মধ্যে মামলার বিবাদীদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। 

এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল জারি করেন। 

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মো. সোলায়মান তুষার। তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট বায়োজিদ হোসাইন ও নাঈম সরদার অয়ন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শফিকুর রহমান। তাকে সহযোগিতা করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মাহফুজ বিন ইউসুফ, অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট একরামুল কবির ও অ্যাডভোকেট মো. ঈসা। 

গত ৫ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় নোয়াখালীর সেনবাগ প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক এমএ আউয়ালের পক্ষে রিটটি দায়ের করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. সোলায়মান তুষার। 

রিটে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কাউন্সিলের রেজিস্টার, বাংলাদেশ নার্সিং মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের রেজিস্টার, নোয়াখালী জোলার সিভিল সার্জন, নোয়াখালীর সাউথবাংলা হাসপাতাল, হাসপাতালের পরিচালক মহিউদ্দিন, নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জুনিয়র কনসালটেন্ট (অ্যানেস্থেসিয়া) ডাক্তার মো. আক্তার হোসেন অভি, তার স্ত্রী ও নোয়াখালী মেডিক্যাল অ্যাসিসট্যান্ট ট্রেনিং স্কুলের (ম্যাটস) জুনিয়র লেকচারার ডাক্তার ফৌজিয়া ফরিদ, সাউথ বাংলা হাসপাতালের মেডিক্যাল সহকারী জাহিদ হোসেন ও সাউথ বাংলা হাসপাতালের ওটি ইনচার্জ সজিব উদ্দিন হৃদয়কে বিবাদী করা হয়েছে। 

২০২৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর ব্যারিস্টার মো. সোলায়মান তুষার ডাকযোগে সংশ্লিষ্টদের আইনি নোটিশ পাঠান। নোটিশে বলা হয়, ২০২৩ সালের ১৬ অক্টোবর রাতে সেনবাগ প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক এমএ আউয়াল তার অন্তঃসত্ত্বা মেয়ে উম্মে সালমা নিশির চিকিৎসার জন্য সাউথ বাংলা হাসপাতালে আসেন। এ সময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, কর্মরত মেডিক্যাল সহকারী জাহিদ হোসেনের সহায়তায় ডা. আক্তার হোসেন অভি ও তার স্ত্রী ডা. ফৌজিয়া ফরিদ রোগীকে হাসপাতালে আনুষ্ঠানিকভাবে ভর্তি না করে, রোগীর কোনও রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করে এবং অভিভাবকের সম্মতি না নিয়েই তাড়াহুড়া করে সিজার করেন। এ সময় ঘটনাস্থলেই মা ও সন্তানের মৃত্যু হয়। ঘটনা ধামাচাপা দিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও চিকিৎসক ডা. অভি ও তার স্ত্রী ফৌজিয়া ফরিদ প্রসূতির অবস্থা সংকটাপন্ন জানিয়ে আইসিইউ সাপোর্টের কথা বলে কুমিল্লায় রেফার করেন। ভুক্তভোগীর অভিভাবকরা তাকে কুমিল্লার টাওয়ার হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, অনেক আগেই রোগীর মৃত্যু হয়েছে। 

নোটিশে আরও বলা হয়, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও ডাক্তারদের ভুল ও অপচিকিৎসার কারণেই ভিকটিম ও নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে, যা সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৮ ও ৩২ এর লঙ্ঘন। তারা এর দায় কোনোভাবেই এড়াতে পারেন না। 

বাংলাস্কুপ/প্রতিবেদক/এনআইএন/এসকে


প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স


এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ